জেলার বন্যার পানি আরও কমেছে। তবে, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার কিছু লোকালয়ে এখনো বন্যার পানি থাকলেও অন্যান্য উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিমুক্ত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা জুড়ে আটদিনের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দাগনভূঞাতেও বন্যার পানি কমছে। তবে, উপজেলার রাজাপুর, সিন্দুরপুর, পূর্ব চন্দ্রপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুর, মাতুভূঞা, জায়লস্কর, সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার কিছু স্থানে মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
বন্যা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যারা নিজ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের কাছে শুকনো খাবার পানি পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সোনাগাজীতেও বন্যা পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় উন্নতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সুলাখালী, মানোমিয়ার বাজার এলাকা, ডাকাবাংলা থেকে ভোর বাজার সড়ক, আমিন উদ্দিন মুন্সি বাজারের আশপাশ, মতিগঞ্জ বাজার, ভোয়াগ গ্রাম, ইসলামপুর এখনো পানি বন্দি। এসব এলাকার কোথাও হাটু পরিমান পানি এবং কোথাও কোমর পরিমান পানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, একনাগাড়ে বৃষ্টি ও ভারত হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলায় আটদিনের বন্যা চলমান। এতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। তিনি জানান সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, ছাত্র–জনতার চেষ্টায় উদ্ধার এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলছে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ