বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানিয়েছে ইতালিভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস। এ বিষয়ে সম্প্রতি রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. মাজহারুল ইসলাম ও প্রথম সচিব (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিক। এ সময় গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের সহ–সভাপতি ডা. হাশেস, সেক্রেটারি জেনারেল মো. মশিয়ার রহমান মিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য জাকারিয়া হোসাইন ও জয়নুল আবেদিন, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আমিনুর রহমান, উপদেষ্টা নিজাম উদ্দিন ও মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত শর্ত আরোপ প্রবাসীদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।
গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. মশিয়ার রহমান মিন্টু বলেন,
“যাদের বৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত শর্ত আরোপ অযৌক্তিক। পাসপোর্টই নাগরিকত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।”
সংগঠনটি সাত দফা দাবিগুলো হলো—
১. বৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, বিদেশি পাসপোর্টের কপি অথবা দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি এনআইডি ধারী তিনজনের প্রত্যয়নপত্রের যেকোনো একটি প্রমাণপত্রকে ভোটার নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে গ্রহণ করা।
২. জন্মনিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে অনলাইন ভেরিফায়েড কপি না থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থা রাখা।
৩. পিতা–মাতার এনআইডি, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের মতো শর্তকে অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত উল্লেখ করে এগুলো প্রত্যাহারের দাবি।
৪. শিক্ষাগত সনদ না থাকা প্রবাসীদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না করা।
৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন বা নিকাহনামার মতো অপ্রাসঙ্গিক শর্ত বাদ দেওয়া।
৬. ইতোমধ্যেই যারা বাংলাদেশে ভোটার তালিকাভুক্ত, তাদের তথ্য প্রবাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখা।
৭. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল অ্যাপস চালু করার প্রস্তাব।
গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের মতে, অযৌক্তিক শর্তের বেড়াজালে প্রবাসীদের ভোটাধিকার সীমিত করা যাবে না। বরং পাসপোর্টকেই নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ ধরে ভোটার তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।