শেষ পর্যন্ত কানপুর টেস্টে হেরেই গেলো বাংলাদেশ। ৯৫ রানের মামুলি লক্ষ্যে চার বিরতির আগেই জয় তুলে নেয় ভারত। ৮ উইকেট হাতে নিয়েও শেষ দিনে ন্যুনতম লড়াই করতে পারেনি সফরকারীরা। ১৪৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে ভারতকে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। তাতে দুইম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বৃষ্টি সুযোগ দিয়েছিলো কানপুর টেস্টে হার এড়ানোর। টানা দুইদিন খেলা না হওয়ার পরও এক সেশনের বেশি সময় বাকি থাকতেই হারের লজ্জায় শেষ বাংলাদেশের ভারতের বিপক্ষে টেস্ট মিশন। ফলাফল, কেবল সিরিজ হার নয়, বরং ধবলধোলাই।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে ভারত যে কোনো মূল্যে জিততে চায়, জানাই ছিলো। তবে ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নামার সময় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচ বাঁচানোর যথেষ্ট সুযোগ ছিলো। তবে শেষদিনের উইকেটে টার্ন নিয়ে যেনো কোনো হোমওয়ার্কই ছিলো না হাথুরুর শিষ্যদের।
দিনের তৃতীয় ওভারেই মুমিনুলের বিদায়ে ধাক্কার শুরু। তবে শান্তকে নিয়ে সাদমানের লড়াইয়ে মনে হচ্ছিলো হয়তো ম্যাচ বাঁচানোর পরিকল্পনাটা ঠিকঠাকই আছে। তবে ওই পর্যন্তই।
সাদমান, শান্ত, লিটনদের সাজঘরে ফেরার চেয়েও দৃষ্টিকটু ছিলো তাদের আউটের ধরণ। আউট হওয়া বলগুলোর শট সিলেকশনের ব্যাখ্যাও দিতে পারবেন না বোধহয় তারা।
দেশে ফেরার নিশ্চয়তা না পেলে কানপুরেই হয়তো ব্যাগি গ্রিনটা পরলেন সাকিব শেষবার। তবে সে শেষটা এতটা দৃষ্টিকটু শটে হবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। মুশফিক একা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও, ক্রিজে টিকে থাকার আগ্রহটা বাকি কারো না থাকায় ১৪৬-এই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ। ভারত লক্ষ্য পায় ৯৫ রানের।
মামুলি লক্ষ্যে আসলে করার তেমন কিছু থাকে না। তবে সাড়ে পাঁচের ওপর রানরেটে মাত্র সতেরো ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ভারত যোনে বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলাই খেললো। ৩ উইকেট খোয়ালেও, চা বিরতির আগেই জয়ের বন্দরে স্বাগতিকরা।