আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসলমানরা কোরবানি দিয়ে থাকে। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মে পশু কোরবান করা হয়। ছয় ধরনের পশু দিয়ে এ কোরবানি করা যায়। তাহলো– উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা।
তবে এ পশুগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না। কোরবানির পশুকে অবশ্যই সুস্থ, সুন্দর ও পষ্ট–পুষ্ট হতে হবে। হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যেসব শারীরিক দোষ–খুঁত ও সমস্যা থাকলে কোরবানি হবে না তাহলো:
> চোখে দেখে না এমন পশু, যার চোখে না দেখাটা সুস্পষ্ট;
> রোগা পশু, যার মধ্যে রোগ সুস্পষ্ট;
> খোঁড়া বা ল্যাংড়া পশু, যার খোঁড়া বা ল্যাংড়া হওয়া সুস্পষ্ট;
> দুর্বল পশু, যার হাঁড়ে মজ্জা নেই। অর্থাৎ চলা–ফেরা করার অযোগ্য।
যেসব পশুর কোরবানি মাকরূহ
কোরবানির পশু মানুষ দ্বারা ঘরে লালিত–পালিত হতে হয়। বন–জঙ্গলের হিংস্র গরু–মহিশ, ভেড়া–ছাগল দ্বারা কোরবানি হবে না। এমন কিছু পশু আছে যা কোরবানি হলেও তা হবে মাকরূহ। আবার পশুর এমন কতগুলো শারীরিক দোষ–ত্রুটি আছে যা থাকলে কোরবানি আদায় হবে কিন্তু তা মাকরূহ হবে। এ সব দোষত্রুটিযুক্ত পশু কোরবানি না করাই ভালো। আর তাহলো–
১. পশুর শিং ভাঙ্গা।
২. পশুর কান কাটা।
৩. পশুর লেজ কাটা।
৪. পশুর ওলান কাটা কিংবা লিঙ্গ কাটা ইত্যাদি।
যে পশুতে কোরবানি না করার পরামর্শ
পশুর এমন কিছু শারীরিক দোষ–ত্রুটি আছে; যার ফলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পশুগুলো দিয়ে কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। তাহলো–
১. মুকাবালা : কানের একদিক কাটা
২. মুদাবারা : কানের মূল থেকে কাটা
৩. খারকা : কানে ছিদ্র
৪. শারকা : কান ফাটা
৫. আযবা : শিং ভাঙ্গা
হাদিসে এসেছে, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত, যার শরীরের কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১৪৪)।
আফ/দীপ্ত নিউজ