মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি দপ্তর ‘মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্তমন্ত্রণালয় সভার সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
উপদেষ্টা বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দুটি দপ্তর ও সংস্থা যথাক্রমে ‘মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’–এর নাম ‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী’ ব্যবহার করার জন্য একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘“মহিলা” শব্দটির পরিবর্তে “নারী” শব্দটির ব্যবহার এখন সর্বজনীন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি–২০১১, নারীবিষয়ক অন্যান্য আইন, বিধিমালা ও নীতিমালায় এবং দেশে–বিদেশে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সব ক্ষেত্রে “মহিলা” শব্দটি পরিবর্তে বরং “নারী” শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে “মহিলা” শব্দটি আমরা আর ব্যবহার করব না।’
উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানের ১৯, ২৭, ২৮ এবং ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ অন্য সব ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এবং ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো সন্নিবেশিত। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘নারী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এসব দিক বিবেচনা করে সবার মতামত ও পরিকল্পনার মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএ