জার্মানির বার্লিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে রীতি অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দলগত ছবি তোলার জন্য এক জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। ওই সময় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবককে চুমু খেয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গর্ডান গ্রিলিক–রাডম্যান। খবর বিবিসির।
গত বৃহস্পতিবার বার্লিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য ও প্রার্থী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জার্মান মন্ত্রীকে দেখে প্রথমে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার মন্ত্রী। তার পরই তাকে চুমু খাওয়ার জন্য এগিয়ে যান ক্রোয়েট নেতা গর্ডান গ্রিলিক–রাডম্যান। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে নেন জার্মান মন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। ফলে ঠোঁটের পরিবর্তে গালে চুমু খান গর্ডান। এ ঘটনায় কিছুটা বিব্রত হলেও হাসিমুখে পরিস্থিতি সামাল দেন আনালেনা।
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জার্মানি ও ক্রোয়েশিয়া– দুই দেশেই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ঘটনাটিকে ‘চুমু–আক্রমণ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন জার্মান ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র বিল্ড। ক্রোয়েশিয়ার অনেকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। ক্রোয়েশিয়ার নারী অধিকার কর্মী ও সাবেক আইনপ্রণেতা রাদা বোরিচ এক ‘সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে মন্ত্রী প্রোটোকল জানেন না। কারণ ‘উষ্ণ অভিবাদন’ এমন লোকদের সঙ্গে হওয়া উচিত যাদের সঙ্গে আপনার এমন সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখানে এ ধরনের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাদরাঙ্কা কোসোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘নারীদের জোর করে চুমু খাওয়াকেও সহিংসতা বলা হয়, তাই না’?
সমালোচনার মুখে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য গত শনিবার ক্ষমা চেয়েছেন গর্ডান। স্থানীয় দৈনিক ভেচের্নজি লিস্টকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা মন্ত্রীরা সবসময় একে অপরকে আন্তরিকভাবে অভিবাদন জানাই। কিন্তু কেউ যদি এই ঘটনায় খারাপ কিছু দেখে থাকেন, তাহলে তার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী’। তবে এ বিষয়ে আনালেনা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ