আজ বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, পালিত হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন হিজরি ১৪৪৬ সনের পবিত্র হজ।
বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হজযাত্রীরা হজের প্রধান রোকন—আরাফা ময়দানে অবস্থানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরাফার ময়দান মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। হজযাত্রীরা এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’…’ ধ্বনিতে মুখর হবে পুরো ময়দান।
হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে প্রদত্ত হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখানে আবার হাজিরা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশা নামাজ। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন। পরে হাজিরা শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য সংগ্রহ করবেন পাথর। এর পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সৌদি আরবে পালিত হবে ঈদুল আজহা। এদিন– বড় জামারায় প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের পর মিনায় হাজিরা কোরবানির পশু জবাই করবেন।
হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি হিজরি চন্দ্রপঞ্জিকার ১২তম মাসে অনুষ্ঠিত হয়।প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।
হজের প্রথম দিনে পুরুষ হজযাত্রীরা নিজেদের পোশাক বদলে সাদা রঙের দুই টুকরা কাপড় (ইহরাম) পরে ইহরামের অবস্থায় প্রবেশ করেন। নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করে মাথা ঢেকে নেন।
উল্লেখ্য, এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়েছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।
এসএ