নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশে একটি গাছ রেল লাইনের ওপর উপড়ে পড়ায় নোয়াখালীর সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৮আগস্ট) সকালে নোয়াখালী থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং নোায়াখালী এক্সপ্রেস কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী যেতে পারেনি। এতো ঢাকামুখী অনেক যাত্রী মাইজদীকোর্ট ও সোনাপুর ষ্টেশনসহ বিভিন্ন ষ্টেশনে আটকা পড়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপড়ে পড়া গাছটি অপসারণের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মাইজদী বাজারের পূর্ব দিকে মাইজদী রেল ষ্টেশনের ফ্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশের একটি বিশাল আকৃতির কড়ই গাছ ফ্ল্যাটফর্ম ও রেল লাইনের উপর দিয়ে পূর্ব দিকে উপড়ে পড়ে। এতে পুরো রেল লাইন বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া গাছের একটি বড় অংশ গিয়ে পড়ে পাশ দিয়ে যাওয়া পিডিবির বিদ্যুৎ লাইনের ওপর। এতে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে উপকূল এক্সপ্রেস আজ সকাল সাড়ে ছয় টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারেনি। এ ছাড়া কুমিল্লা থেকে সোনাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নোয়াখালী এক্সপ্রেস চৌমুহনী ষ্টেশনে আটকা পড়ে।
ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় ঢাকা অভিমূখী উপকূল এক্সপ্রেসের অনেক যাত্রী বিভিন্ন ষ্টেশনে আটকা পড়েছে।
সোনাপুর ষ্টেশনে কথা হয় আটকা পড়া যাত্রী তানজিম হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, তিনি উপকূলে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি সকাল ছয়টায় ষ্টেশনে এসেছিলেন। এসে শোনেন রেল লাইনের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে এমন আশায় এখনও বসে আছেন ষ্টেশনে। কখন ট্রেন ছেড়ে যায়।
মাইজদীকোর্ট ষ্টেশনের মাষ্টার ফখরুল ইসলাম দীপ্ত নি্উজকে জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে মাইজদী ষ্টেশনের ফ্ল্যাটফর্মের পাশের একটি গাছ উপড়ে ফ্ল্যাটফর্মসহ রেল লাইনের ওপর পড়ে। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে গাছ অপসারণ করতে ব্যর্থ হন। পরে শ্রমিক ভাড়া করে গাছ কেটে গুঁড়ি করে অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। গাছ অপসারণ শেষ হলে ট্রেন দুইটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
নাসিম/মােরশেদ/দীপ্ত সংবাদ