দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে এক তরফা ও পাতানো। অংশগ্রহণমূলক হয়নি। দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য এটা অশনিসংকেত।
একতরফা নির্বাচনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্যতম অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে, নির্বাচন কমিশন– টিআইবি‘র প্রতিবেদন।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটের দিন সারাদেশে অধিকাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।
ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি, বিভিন্ন আসনে অন্য দলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্য সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এর আগে নির্বাচন নিয়ে আরেক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সব দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না। এছাড়া ভোটের পরিবেশ নিয়ে সমালোচনা কোরে, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভল্কার তুর্ক, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি।
এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ব্রিটেন। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণার সময় সহিংসতা ও ভয়ভীতি দেখানোর নিন্দাও জানানো হয় বিবৃতিতে। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আল / দীপ্ত সংবাদ