হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও দুই মাসের মধ্যে যৌন হয়রানির বিচার শেষ করছেনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল। অপরাধী প্রভাবশালী হওয়ায় যৌন হয়রানির বিচার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সেলের এক সদস্য জানিয়েছেন- অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।
গত পহেলা বৈশাখের আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় কাজ করার সময় এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গী করেন শিল্পকলা ইতিহাসের এক শিক্ষক এবং দুই ছাত্র। পরদিন পহেলা বৈশাখে ঐ একই শিক্ষক বুয়েটের এক ছাত্রীকে লক্ষ্য করে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গী করেন। এসব ঘটনায় চারুকলা অনুষদে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দেয়। একাধিকবার সাক্ষ্য নেয়া হলেও ঘটনাটি যৌন নিপিড়ন সেল পর্যন্তই যায়নি।
চারুকলার ঐ ঘটনায় কারো শাস্তি না হওয়ায় হতাশ আন্দোলনকারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালে গঠন করা হয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল। এই সেল বর্তমানে তিনটি অভিযোগের তদন্ত করছে। এর একটি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের এক অধ্যাপক, দ্বিতীয়টি শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপক এবং তৃতীয় অভিযোগ যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।
যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের সাবেক সভাপতি বলছেন, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেক সময় শাস্তিপ্রদান সম্ভব হয়না। হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়েরের ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।