২০২৩–২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নগরবাসীর। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ভাবনা নেই নিম্ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। তাদের একটাই চাওয়া, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) আগামী অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থান করেছেন অর্থমন্ত্রী।
জীবন ও জীবিকার জন্য বাজেটকে জাতীয় বাজেট থেকে আলাদা অলিন্দে নয়, একীভূত হিসেবে দেখাই জরুরি। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে তখন সাধারণ মানুষের জীবন কাটে স্বস্তিতে। অন্য দিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে; তখন দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারে চলে অর্ধাহার, অনাহার এবং পারিবারিক অশান্তি। তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একদিকে জনজীবনে নেমে আসে কষ্টের কালো ছায়া, অন্যদিকে মুনাফাখোরি, কালোবাজারিদের কারণে দেশে বিরাজ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
রাজধানীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. খোকন। প্রায় ২৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ দোকান চালান ফুটপাতে। বাজেট নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা না থাকলেও, নিত্য পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে চিন্তিত তিনি।
ব্যবসায়ী খোকন বলেন, ‘এই যে ৫০ টাকা দিয়ে হালি কিনছি, এখন কাস্টমারদের সাথে লাগবে ঝগড়া। জিনিসের দাম কম থাকলে কাস্টমারের সাথেও ঝগড়া নাই, খাইয়াও শান্তি, আমরা বেইচ্ছাও শান্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন গরীব কৃষক, যদি খাইয়া বাচতাম, এটাই আমাদের বাজেট।’
বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরো গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন অনেকে। এ বাজেট কতটা কার্যকরী হবে নিম্ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এটি এখন দেখার বিষয়।
আফ/দীপ্ত নিউজ