পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে শুমারি ও জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আর্থ–সামাজিক ও জনতাত্ত্বিকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করে আসছে।
বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত শুমারিসমূহের মধ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা, অর্থনৈতিক শুমারি, কৃষি শুমারি উল্লেখযোগ্য। তিনটি উল্লেখযোগ্য শুমারির মধ্যে অর্থনৈতিক শুমারি–২০২৩ প্রকল্প চলমান রয়েছে। দেশের প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এরপর ২০০১ ও ২০০৩ সালে দুটি পর্যায়ে ২য় অর্থনৈতিক শুমারি এবং ২০১৩ সালে ৩য় অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সময় ও যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী , নির্ভুল তথ্য প্রদান এবং সরকার ঘোষিত ‘ স্মার্ট বাংলাদেশ ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার অভিপ্রায়ে বর্তমানে Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর লিস্টিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। লিস্টিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত লিস্টারগণকে জোনের নির্বাচিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে ০৪ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর লিস্টিং কার্যক্রম সম্পর্কিত আলোচনা সভা জনাব ডিসি মহোদয় এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মাহমুদুল হক মহোদয় উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ এর সম্মানিত উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), জনাব সাঈদ আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ এর সম্মানিত উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার জনাব মোসা:রীমা খাতুন, বাংলাদেশ পুলিশ এর উদ্ধর্তন কর্মকর্তা, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
গত ১৪ জুলাই অর্থনৈতিক শুমারি–২০২৪ এর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন শুমারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও অর্থনৈতিক শুমারি–২০২৪ এর বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), সাঈদ আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।
অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নারায়ণগঞ্জে মোট ৫৯টি জোন তৈরি করা হয় এবং ২টি ডিসিসি (ডিসিসি–০১ এবং ডিসিসি–০২) এলাকা তৈরি করা হয়। ডিসিসি–১– এর (নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং নারায়ণগঞ্জ সদর) দায়িত্বে রয়েছেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), সাঈদ আহমেদ। আর ডিসিসি–২–এর (বাকি সব উপজেলা) দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম। এতে মোট ১৮০২ জন তালিকাকারী নিয়োজিত হন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ৪৮৩ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪৩৪ জন।
অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর লিস্টিং কার্যক্রম ৭ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী একযোগে পরিচালিত হচ্ছে। ২০ দিনব্যাপী দেশের সকল খানা ও প্রতিষ্ঠানের (সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি) তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক শুমারির এ তালিকাকরণ কার্যক্রমে ইউনিটসমূহের নাম, ঠিকানা, কার্যক্রমের ধরণ এবং জনবলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকাকারীরা উক্ত সময় আপনার খানা ও প্রতিষ্ঠানে যাবে।
তথ্য সংগ্রহকারীদের সঠিক তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করুন। সঠিক তথ্য প্রদান করে দেশের উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় নিজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য শুমারিকর্মীদের তথ্য দিন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন।
আল / দীপ্ত সংবাদ