রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

নাইট শিফটে কাজের সময় যা মেনে চলা উচিত

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

 

রাত জাগা কোনোভাবেই সুস্থতার পরিচায়ক নয়। তবু ডাক্তার, সাংবাদিকতা, কারখানা, সিকিউরিটি, পুলিশ, ফ্রিল্যান্সিংসহ কিছু পেশায় রাত জাগতেই হয়। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, রোস্টার বেসিস ডিউটি কিংবা নাইট শিফটের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। রাত জেগে কাজ করলে বিশেষজ্ঞদের মতে শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার হয়। নাইট শিফট এড়াতে না পারেন অন্তত অসুখ তো এড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে কিছু টিপস অনুসরণ করা জরুরি:

. শিফট শুরুর আগে ঘুম

নাইট শিফটে রাত জাগতে হয়। দিনে ঘুমাতে হয়। বায়োলজিক্যাল ঘড়ির বারোটা বাজে। ঘুম হয় অপর্যাপ্ত। সেই ঘুমের ঘাটতি মিটিয়ে নিতে শিফট শুরু হওয়ার আগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। যদি শিফট শুরু হয় রাত ৮টায়, তাহলে অফিস যাওয়ার আগে ঘুম বাঞ্ছনীয়। ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে তারপর তৈরি হন অফিসের জন্য।

. কাজ শেষে বাড়ি ফিরেই ঘুম না

নাইট শিফটে কাজের ক্লান্তি বেশি বোধ হয়। দিনে কাজের পরিশ্রম যতই হোক না কেন, নাইট শিফটে পরিশ্রম অনেক। রাতে মানসিক ক্লান্তির সঙ্গে থাকে শারীরিক ক্লান্তিও। এজন্য বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে ক্লান্তিবোধ ততটা কাটবে না। বাড়ি ফিরে পছন্দের কাজ করুন। বই পড়া, গান শোনা, পছন্দের খাবার খাওয়া। বেশ কিছুটা সময় রিল্যাক্স করে, তারপর ঘুমাতে যান।

. ক্যাফেইন এড়াতে হবে

নাইট শিফটে অনেকেই ঘন ঘন চা, কফি খেয়ে থাকেন। শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এগুলো। তাই নাইট শিফটে কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে ব্রেক নিন, হেঁটে আসুন। কিন্তু কফি বা কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না। রাতে কাজ করতে করতে অনেকেই কিছু খেতে ভালবাসেন। খিদে না পেলেও হালকা কিছু খেতে ইচ্ছে করে এ সময়। কিন্তু, এ পথে হাঁটা ঠিক নয়। কারণ, অসময়ে খাওয়া ফ্যাট বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ভরপেট খেলে ঘুমও বেশি পায়।

খুব বেশি খিদে পেলে খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় খাবার ডিম, পনির বা পিনাট বাটার জাতীয় খাবার অল্পে পেট ভরাবে, কিন্তু শক্তি দেবে বেশি, আবার ঘুমও আসবে না সহজে।

. ব্যায়াম করুন

সপ্তাহে যতদিনই নাইট শিফটে কাজ করুন না কেন, দিনের বেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট ও সতেজ রাখবে। ব্যায়ামের আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। ফল, প্রোটিন বার বা বিস্কুট জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেবে।

. বিরতিতে জোর দিন

একটানা কাজ করলে শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য কাজের ফাকে বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন বা নিজের মতো করে একটু সময় কাটান। অফিসের মধ্যেই একটু হেঁটে নিতে পারেন। ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিয়ে গান শুনতে পারেন। আর অনলাইনভিত্তিক কাজ হলে, মাঝে মাঝে ৫ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। কারণ একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে মাথাব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

 

এসএ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More