কৃষি গবেষণায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ। গত ২২ বছরে ২ শ’র বেশি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবি তার। তবে এখনও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি। ধানের এই সবুজ মাঠ দেখে মনে হতে পারে, কৃষি বিজ্ঞানীদের কোনো প্রদর্শনী। কিন্তু না, এটি রাজশাহীর তানোরের গোল্লাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক নূর মোহাম্মদের ধান প্রদর্শনী প্লট।
বেগুনি, সোনালী, সবুজ, খয়েরি, সাদাগুটিসহ নানা জাতের ধান শোভা পাচ্ছে নূরের জমিতে। তার দাবি, ২ শ’র বেশি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন তিনি। নূর মোহাম্মদ এবার নিজের নামের সাথে মিল রেখে নতুন জাতের নাম দিয়েছেন ‘নূর ধান-৩’। এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। নূরের সফলতায় খুশি গ্রামের অন্য কৃষকরাও।
বীজ বোর্ডের সুনিদিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরন ও সিদ্ধান্তের পরই, নূরের উদ্ভাবিত এসব ধানের জাত স্বীকৃতি পাবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ২০০০ সাল থেকে ধান নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন নূর। কৃষিতে অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক, কৃষি পুরস্কারসহ, দীপ্ত টিভি’র সেরা কৃষি উদ্ভাবক পুরস্কার পেয়েছেন নূর মোহাম্মদ।