পরিবেশ বাঁচাতে নতুন জলবায়ু বিলের পক্ষে রায় দিলেন সুইজারল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। বিলে ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে পেট্রোল–ডিজেলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় এনে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরশীল হবে এই দেশ।
উষ্ণায়নের ফলে সুইজারল্যান্ডে হিমবাহের বরফ গলতে শুরু করেছে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের সামনে থাকা দেশটিতে প্রস্তাবিত বিল নিয়ে গণভোটের আয়োজন করলে ৫৯ দশমিক এক শতাংশ মানুষ বিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দক্ষিণপন্থি সুইস পিপলস পার্টি ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল বিলের পক্ষে ছিল।
সুইজারল্যান্ডে তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। যার অনেকটাই আসে রাশিয়া থেকে। বিলে বলা হয়েছে, তেল ও গ্যাসের বিকল্প শক্তি গ্রিন এনার্জির পথে হাঁটবে সুইজারল্যান্ড। সেজন্য আগামী এক দশকে দুইশ কোটি সুইস ফ্রাঁ খরচ করা হবে।
হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ম্যাথিয়াস হাস টুইট করে বলেছেন, ”আমার ভালো লাগছে যে, মানুষ পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। পরিবেশবিজ্ঞানীদের কথা শুনেছে তারা।”
সোস্য়ালিস্ট পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ভ্যালেরি ক্যালার্ড বলেছেন, ”ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ভোদাতারা দ্বিতীয় গণভোটের সময় বহুজাতিক সংস্থার উপর ১৫ শতাংশ হারে পরিবেশ কর চাপানোর সিদ্ধান্তও সমর্থন করেছিলেন। ৭৯ শতাংশের বেশি ভোটদাতা এই পদক্ষেপের পক্ষে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ