দেশে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের সুদহার বাড়িয়েছে সরকার। প্রবাসী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে, এ পদক্ষেপ নেয়া হলেও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এক্ষেত্রে সুদহার বড় নিয়ামক।
কেননা আন্তর্জাতিক বন্ডের সুদহারের কাছাকাছি না হলে, বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা সহজ হবে না।
প্রবাসীরা তাদের মাসের খরচ মেটানোর পর যে টাকা সঞ্চয় করেন, তা যেন দেশে পাঠিয়ে লাভবান হতে পারেন, সেজন্য বাংলাদেশে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড চালু করেছে সরকার।
দেশে ডলারের সরবরাহ বাড়ানো ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এবার মার্কিন ডলার প্রিমিয়াম ও ইনভেস্ট বন্ডে সুদহার দেড় থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। একইসঙ্গে আগের সীমা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ডলার তুলে দিয়ে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগ্রহীরা এখন যেকোনো পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের প্রবাহ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সুদহারের সাথে বন্ডের সুদহার কাছাকাছি রাখা প্রয়োজন। বন্ডের মাধ্যমে ডলারের প্রবাহ বাড়নোকে ভাল উদ্যোগ মনে করছেন বিশ্লষকরা। তবে রয়েছে নজরদারির পরামর্শ।
দেশে ১৯৮৮ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এবং ২০০২ সালে তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড চালু করা হয়।
আল / দীপ্ত সংবাদ