নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানের পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হচ্ছে সংঘর্ষ। নির্বাচনি কার্যালয় ছাড়াও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে।
জামালপুর–৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র এবং সমর্থকের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ উঠেছে। তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
বাগেরহাট–৩ আসনে নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহারের ৪ নেতাকর্মীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ–১ আসনের শিবগঞ্জ এলাকায়, নৌকার প্রচার অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন কোরে, দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জয়পুরহাট–২ আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা, ইটাখোলা বাজারে গণসংযোগ করছিল। এসময় দুপক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ ঘটনায় দুই প্রার্থীই মামলা করেছেন।
নোয়াখালী–২ আসনে নৌকার প্রার্থীকে জুতা দিয়ে আঘাতের ঘটনায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়ার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ ১১ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন আতাউর।
নীলফামারী–৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ায়, জেলা জাতীয় পার্টির সহ–সভাপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককে, দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত ২৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ–১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়ার প্রচারণায়, মুক্তিযোদ্ধাদের মারধরের ঘটনা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এ নিয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
আল/ দীপ্ত সংবাদ