রাজশাহীর বাঘার কিশোরী রেবেকা খাতুন (১৩) হত্যা মামলার রহস্য দেড়যুগ পর উদঘাটন হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রেবেকার বাবা আকসেদ আলী সিকদার নিজের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন। তারপর প্রতিপক্ষের ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। দেড়যুগ ধরে আদালতে মামলার বিচারও চলছিল।
কিন্তু বিচার চলাকালে আদালতের মনে হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। পুনরায় তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা প্রয়োজন। তাই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে দিয়েছিলেন।
পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অন্য কেউ নয়; প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রেবেকা খাতুনকে হত্যা করেছিলেন তার বাবা আকসেদ আলী সিকদার নিজেই। আকসেদ আলী বাঘা উপজেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি মারা গেছেন।
পিবিআইয়ের তদন্তের পর তার দুই স্ত্রী ভায়েলা বেওয়া (৬৫) ও আফিয়া বেওয়া (৬০) গত রবিবার আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তারা জানিয়েছেন, এতদিন স্বামীর ভয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।
১৮ বছর পর এ মামলার রহস্য উদঘাটন বিষয়ে মঙ্গলবার পিবিআইয়ের রাজশাহী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এই মামলার বিস্তারিত জানান পিবিআই রাজশাহীর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ।
রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক খায়রুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন। প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, প্রতিপক্ষরা নয়, আকসেদ আলীই নিজের মেয়েকে হত্যা করেছিলেন।
এরপর তার দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা সবকিছুই স্বীকার করেন। তারা আদালতে বলেছেন, স্বামীর ভয়ে তারা এ নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ