কদিন পর ঈদুল আযাহা ( কুরবানীর ঈদ ) আসছে। তাই দিনাজপুরের গরু খামারীরা শেষ মূহুর্তে এসে পশু পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পর করছে । কুরবানীর পশুগুলিকে খাদ্য খাওয়ানো ও গোসল করানোর কাজে নিয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা ।
অপর দিকে দিনাজপুরের জমে উঠেছে পশুর হাট। কুরবানির পশুর ক্রয়–বিক্রয়ের জন্য দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ২২০টি পশুর হাট বেচা বিক্রি হচ্ছে । দিনাজপুরের কাহারোল পশু হাট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশু হাট হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে ।
সপ্তাহের শনিবার এই পশুর হাট বসে । তাই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু ক্রেতা বিক্রেতারা এখানে পশু বেচা বিক্রি করে থাকেন ।
কাহারোলের পশুর হাটে দেখা গেছে, প্রায় দুই একর জায়গার ওপর বসেছে পশুর হাট। পশু নিয়ে সকালেই পৌছে যান বিক্রেতারা। এই পশুর হাটের দিন চারদিক যানজট লেগে যায় ।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পুরোদমে শুরু হয় পশু বেচাকেনা। কুরবানি উপলক্ষে পশুর উপস্থিতি একটু বেশি থাকে। পশুর হাটে বিক্রেতা ক্রেতাদের মাঝে চলে দর–কষাকষি। এই সময় পা রাখার জায়গা থাকে না পশু হাটে।
এদিকে, কাহারোল পশুর হাটে দেখা গেছে ভারতীয় গরু। স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী জানান, প্রতি বছর কোরবানি উপলক্ষে এ হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুও বিক্রি হয়। তবে এ ব্যাপারে নীরব হাট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন।
হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি দোলোয়ার হোসেন জানান, কাহারোল ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট। অনেক সুনাম রয়েছে এ হাটের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে গরু, মহিষ ও খাসি ক্রয় করতে আসেন। এই হাটে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুর ও জয়পুরহাটসহ আশপাশের জেলা থেকে বিক্রেতারা গরু বিক্রি করতে আসেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের সুযোগ–সুবিধা প্রদান করেন। কোরবানির সময় ২০ হাজার গরু ও ছাগল বিক্রি হয়। এ হাটে প্রায় ৫০ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন , জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৮ টি কুরবানির উপযোগী গরু, মহিষ ও ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে । গরু মহিষ কুরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৭টি আর ছাগল ও ভেড়া কুরবানীর জন্য প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১টি ।
দিনাজপুর জেলার কুরবানীর পশুর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ২৮ হাজার ৬৩৬ টি গরু ছাগল থাকবে। যা দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠাতে পাঠাতে পারব ।
সুলতান মাহমুদ /আল /দীপ্ত সংবাদ