গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্ব নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া (৫৫) একই গ্রামের প্রতিবেশী ভোলা শেখের ছেলে পাপুল (৩২) এর হাতে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। এ সময় আরও দু’জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় রাতে চুরি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন যুবককে প্রহরী নিয়োগ করা হয়। স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বিনা প্রয়োজনে রাত দশটার পর বাড়ির বাইরে কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের মোসলেম আকন্দ ভোলার ছেলে পাপুল আকন্দের পথরোধ করেন খায়রুল নামে এক প্রহরী। আটকানোর বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি মিমাংশার জন্য এগিয়ে যান ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়াসহ অন্যান্যরা। এ সময় বাদশা মিয়ার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও তর্কে জড়িয়ে পড়েন পাপুল। উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়ার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় পাশে স্বপন ও সবুজ নামে দুই সহোদর আটকাতে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাপুল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ছুরিকাঘাতে আহত দু‘জনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আর কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনাটির খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনর্চাজসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) দীবাকর অধিকারী জানান, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে একজন ইউপি সদস্য খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত পাপুলকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
ভবতোষ রায় মনা/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ