তীব্র তাপপ্রবাহে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। সোমবার (৫জুন) বেলা ৩টায় যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র এ গরমে বিপাকে পড়েছে এখানকার মাছের রেণুপোনা উৎপাদনকারী ও বিক্রেতারা। বিশেষ করে পানি গরম হয়ে যাওয়ায় উৎপাদিত রেণুপোনা মারা যাচ্ছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। চাঁচড়া মৎস্যপল্লী এলাকার রেণুপোনা উৎপাদনকারী আলামিন বলেন, সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় এবং গত কয়েকদিনের তাপদাহে ধানী মাছ তৈরী করা যাচ্ছে না। ফলে আমরা চারা তৈরি করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছি।
আরেক রেণু উৎপাদক আবু সাঈদ বলেন, গরমের সাথে সাথে যেভাবে লোডশেডিং শুরু হয়েছে তাতে আমরা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমাদের পুকুরের পানি গরম হয়ে যাচ্ছে। সব সময় ঝর্না চালিয়ে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা সেটা করতে পারছি না।
গরমে পোনা বিক্রিও ব্যাহত হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রেণুপোনার বাজার যশোরের চাঁচড়ায়। রেণুপোনা বিক্রেতা সবুজ জানান, চারা মাছ রেণু বহনের ব্যাগেই মারা যাচ্ছে। ক্রেতারা চারা কিনে বাড়ি যেতে যেতেই গরমে সব সেদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে। প্যাকেটে অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না। ফলে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে মার্কেটে।
যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ৮ জুনের আগে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, গরমে রেণুপোনা উৎপাদন ও সরবারাহের ক্ষেত্রে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। যশোর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান রেজা আতিরিক্ত রোদের সময় পুকুরের পানি ঠান্ডা রাখতে সাওয়ার ব্যবহার সহ কচুড়িপনা ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সাথে রেণু পরিবহনের ক্ষেত্রে রেণু ব্যাগে কিছুটা বরফ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জুবায়ের/ আল/দীপ্ত সংবাদ