মিরপুর শেরে–ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট জয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দীর্ঘ ৮৯ বছরে ৫৪৬ রানের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড করল টাইগাররা। এটি ছিল বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়। এর আগে ১৯৩৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডকে ৬৬২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর ছয় বছর আগে, ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডে শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ড।
পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের ইতিহাসে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৬৫৯ রানের সর্বোচ্চ লিডকে টপকে শীর্ষে স্থানে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগাররা লিড নিয়েছিল ৬৬১ রানের।
টাইগার পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে অনন্য রেকর্ড করল হাথুরুর শীর্ষরা। ঢাকা টেস্টে ২০ টি উইকেটের মধ্যে ১৪ টি নিয়েছে পেসাররা। যা কিনা টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিকার। এর আগে ২০২২ সালের শুরুতে মাউন্ট ম্যাঙ্গানুয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে ১৩ টি উইকেট নিয়েছিল পেসাররা।
এর আগে ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে মুমিনুল হকের পর ২য় বাংলাদেশি হিসেবে রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে মুমিনুল হকের করা সর্বোচ্চ ২৮১ রানের বিপরীতে ২৭০ রান করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন শান্ত।
একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন শান্ত। এই টেস্টে ৮২.৮২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন শান্ত। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৯০.৯০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। তালিকায় দুই ও তিনে রয়েছেন যথাক্রমে পাকিস্তানের মিসবাহ উল হক ও শ্রীলঙ্কার তিলকরাত্নে দিলশান।
নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫১ উইকেট তুলে নিয়ে সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দেড়শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেই অল–আউট হয়ে মোট ২৬১ রান করে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে দুইবারই অল–আউট হওয়া দলগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের রেকর্ড করল আফগানিস্তান। টেস্টে যেকোনো দেশের হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন।
ইমাম/দীপ্ত নিউজ