দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুতোষ অ্যানিমেশন তথ্যচিত্র ‘টুমোরো’ দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
শুক্রবার (৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর শিশু একাডেমিতে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়।
প্রদশর্নী শেষে বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যচিত্র টুমোরো বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমরা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এটি দেখানোর ব্যবস্থা করব।
এরইমধ্যে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে শিক্ষণীয় এই তথ্যচিত্র প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি, অভিভাবক ও প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছর সপ্তম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি শিক্ষা-সহায়কা বইয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্যচিত্রটি দেখানোর জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। এতে সচেতনতার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ‘টুমোরো’।
দর্শকদের কাছে তথ্যচিত্রটি গ্রহণযোগ্য হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কাজী মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক কাজী জিসান হাসান।
কাজী মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক ও টুমোরো প্রযোজক কাজী জিসান হাসান বলেন, বিশ্বে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে। সেটার জন্য আমার ভাইকে নিয়ে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
দীপ্ত টেলিভিশনের সিইও ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, তথ্যচিত্রটি বিভিন্ন ভাষায় প্রদর্শিত হয়েছে। মানুষের প্রশংসাও পেয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নগরীর গড়তে সবচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীকে বাঁচাতে, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণ ও এর নেতিবাচক প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসান এর প্রযোজনায় ফিল্মটি রচনা করেছেন নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক। ২৫ মিনিট দীর্ঘ এই অ্যানিমেটেড ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বাংলাদেশের সাইকোর স্টুডিওতে ফিল্মটি নির্মিত হয়। ২০১৯ সালে তৈরি হয় অ্যানিমেশন তথ্যচিত্র ‘টুমোরো’। বিভিন্ন দেশের ১২টি ভাষায় ডাবিং হওয়া ‘টুমোরো’ অর্ধশতাধিক পুরস্কার পেয়েছে।