ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন দ্রুত চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।পাশাপাশি এসব স্থাপনা নিরাপদ করতে বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর ভূমিকা দরকার বলে মনে করেন তারা। কারণ বেশির ভাগ ভবনই নিয়মনীতি মেনে তৈরি হয়নি।
২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুনে প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ। এরপর আরও অনেক আগুন দেখেছে সেখানকার বাসিন্দারা। ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডে প্রাণ গেছে ৭০ জনের।
সবশেষ সিদ্দিক বাজারের ভবনে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২৩ জন। নিমতলীর আগুনের পর পুরান ঢাকার রাসায়নিকের কারখানা ও গুদাম সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি ১০ বছরেও।
বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বলছে, পুরান ঢাকার শতকরা ৮০ ভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থাপনাগুলোতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে একসঙ্গে।
সম্প্রতি সায়েন্সল্যাবের একটি ভবনে বিস্ফোরণে মারা যায় ৩ জন। এছাড়াও ২০১৯ সালের মার্চে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজউকের সীমানায় স্থাপনা আছে ২১ লাখের বেশি। এরমধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ