ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের হানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ঘর বন্দী অর্ধলাখ মানুষ। বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়ছে গাছ। এতে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় বইছে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে রবিবার থেকে শুরু সোমবারেও চলছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এছাড়া সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি ৮ থেকে ১০ ফুট বেড়ে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে। পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ঝালকাঠি জেলার অর্ধলাখ মানুষ ঘরবন্দী রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু বড় বড় গাছ উপড়ে পরে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ায় বিদ্যুৎহীন বিভিন্ন এলাকা। মাছের ঘেরে পানি ঢুকে পরায় মাছ বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে সবজির। গাছ পরে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ফার্মের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ–ছয় ফুট পানি বিপদ সীমার ওপর থেকে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। আজকের দিনের মধ্যে পানি কমলে মানুষের ক্ষতি কম হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি। এখনো যারা আসেনি, তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে পারেন। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে পানি উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে জেলা প্রশাসন থাকবে।’