গণভবনে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর‘ আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে গণভবনে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা বিষয়ে‘ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর‘ উদ্বোধন করা হলেও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে আরও পরে। বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কেন জুলাই হলো, জুলাই অভ্যুত্থানের নানা স্মৃতি, বিগত আ. লীগ সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের ঘটনা, জুলাই আন্দোলনের মূল যে দর্শন, তা স্থান পাবে জাদুঘরে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, গণভবন একটা ‘ক্রাইম জোন’ (অপরাধের এলাকা)। এখান থেকেই হত্যা–গুম–খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ভবনটিকে এমনভাবে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে, যাতে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, গণভবনে জুলাই জাদুঘর তৈরি করলেও গণহত্যার প্রমাণ মুছবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অপরাধের মূল উপাদানগুলো জমা দেওয়া হয়েছে। জাদুঘরে গিয়ে জনগণ শেখ হাসিনা শাসনামলের অপরাধ ও নির্যাতনের ‘আজীবনের বিচার’ করবে।
জুলাই অভ্যুত্থান ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ১ টাকাও বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট থেকেই এই টাকা খরচ হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার সাধারণত যেকোনো সংবাদ সম্মেলন রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে করে থাকে, আজকে কেন গণভবনে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘গত বছর এমন দিনে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন হয়েছিল। আজকে একই দিন সেই গণভবনে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন হলো। দিস ইস পোয়েটিক জাস্টিস।’
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ