নাটকীয়তা, দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা যেন পিছু ছাড়ছে না জাতীয় পার্টির। এ জন্য দলের নীতি–নৈতিকতার ঘাটতিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের আশংকা, অস্তিত্ব সংকটের পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি শুধুমাত্র আঞ্চলিক সমর্থনপুষ্ট দলে পরিণত হতে পারে।
ত্রিশ বছরের পুরনো জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব নির্ভর করছে এর চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অস্তিত্বের ওপর। ১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া এই জাতীয় পার্টি এরশাদের অবর্তমানে যে হারিয়ে যাবে, ৩০ বছরের জাতীয় পার্টির কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
২০১৬ সালে প্রকাশিত এক কলামে এমন মন্তব্য করেছিলেন এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। যা এখন অনেকটাই বাস্তবসম্মত।
প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছরে জাতীয় পার্টিতে ফের ভর করেছে উত্তেজনা ও নাটকিয়তা। এর শুরুটা হয় রবিবার (২৮ জানুয়ারি) । চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির এই অবস্থার জন্য দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের নীতি–নৈতিকতার ঘাটতিকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের আশংকা, এইভাবে চলতে থাকলে জাতীয় পার্টি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
জাতীয় পার্টি নামে এখন দল আছে পাঁচটি। প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত অন্তত ১০ বার ভেঙেছে দলটি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হলেন জি এম কাদের
এসএ/দীপ্ত নিউজ