আগামী দুই মাসের মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। স্থলবন্দরের স্থায়ী কাঠামো তৈরী নিয়ে জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অস্থায়ী কাঠামোয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, এ বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হলে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাতায়াত সহজ হয়ে আসবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলে বন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্য। এই বন্দর দিয়ে ভিসা নিয়ে দুই দেশে যাতায়াত করা যাবে।
স্থলবন্দরের কাজ চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থায়ী কাঠামো তৈরি নিয়ে জটিলতার জেরে দেরি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ সহ জেলা পরিষদের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
রুনা আনসারী/এফএম/দীপ্ত নিউজ