রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ ও সময়ের বাস্তব চিত্র এবং দেশের ইতিহাস–ঐতিহ্য তুলে ধরে মানুষের দেশপ্রেম উজ্জীবিত করে চলচ্চিত্র। এটি মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার–২০২১ প্রদান’ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের ‘বিএফডিসি’।
তিনি আরও বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের ইতিহাস–ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বিনোদনমূলক কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর আবেদন ও প্রভাব আজও সমাজে বিদ্যমান।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এরমধ্যে ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ও চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন এবং জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেমা হল সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, পুরোনো সিনেমা হলগুলোর সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হল চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন–২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা, সরকারের এসব উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবে।
এমি/দীপ্ত