হরতাল অবরোধে স্থবিরতা নেমে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে ট্রাক–লরি চলাচল।
বিএনপি–জামাতের হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতে, চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট ৩টি সড়কে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর এবং ৩টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায়, প্রভাব পড়েছে বন্দরে। সিটি গেইট এলাকায় কমে গেছে কাভার্ডভ্যানের সংখ্যা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক গড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ট্রাক ও লরি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গেলেও, বর্তমানে তা ৩ হাজারের নিচে নেমে গেছে।
বন্দরে পণ্য আনা নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ রুট ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক, বন্দর টোল রোড আর চট্টগ্রাম লিংক রোড। এই তিন সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে, বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
হরতাল অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের নাশকতা পরিহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ