বিদ্যমান নিম্নচাপ ও আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা–এর সর্বশেষ অবস্থান এবং চলমান পরিস্থিতিতে আগাম কার্যাবলী ও ঝড় পরবর্তী করণীয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা।
দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও পাশের আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপ আগামীকাল ( ১১ মে ) ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি কক্সবাজারের টেকনাফ এবং মায়ানমারের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। ঘন্টায় ১৮০ –২২০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে।
এরইমধ্যে সুপার সাইক্লোন হওয়ার আগাম পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেল্টার ম্যানেজমেন্ট–এর জন্য চাল, শুকনো খাবারসহ বেশ কিছু তৈরি খাবার এরই মধ্যে সম্ভাব্য জেলা কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি সেনাবাহিনী সহ সকল বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছে সহযোগিতা করছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ২ নাম্বার সংকেত দেয়া হবে। নৌযানগুলোকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সংকেত ৫/৬ হলে মানুষ, গবাদিপশু সেল্টার সেন্টারে নেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বাসস্থানগুলো মজবুত না হওয়াই তাদের নিয়ে কিছুটা সঙ্কা থেকে যায়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে ভারতীয় আবহাওয়া বিদরা বলছেন, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে অনুমান তারা করছেন, তা ঠিক থাকলে ১৪ মে দুপুর নাগাদ নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আল/দীপ্ত সংবাদ