বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এর প্রভাবে আতঙ্ক বাড়ছে জেলার নদী র্তীরবর্তি মানুষের মাঝে।
এদিকে মোংলা বন্দরে ৫ নম্বর সংকেত চললেও বন্দরে থাকা ১১টি দেশি–বিদেশী জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে হামুনের গতিবিধি পর্যাবেক্ষণ করেছেন তারা। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাব সাগর উত্তাল থাকায় সকল মাছ ধরা ট্রলাকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি সকাল ১০টার সমীক্ষা অনুযায়ী মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। যার ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জরুরী সভা করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠান হয়। সভায় জেলার ৪৪৬টি সাইক্লোন সেন্টার, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মামুন আহমেদ/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ