আর্সেনিক নামক গুপ্তঘাতকের কবলে ফেনীর ৩টি উপজেলা। পরীক্ষায় এসব উপজেলার ৩০ শতাংশ নলকূপে মিলেছে আর্সেনিক নামক বিষ। ফলে চরম স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়েছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
আর্সেনিক ঝুঁকি চিহ্নিত করতে ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও সদর উপজেলায় স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে ৭৫ হাজার ৬৩৩টি টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করে ২১ হাজার ৩৯৮টিতেই মেলে আর্সেনিক। এগুলোর মধ্যে ৯৯ শতাংশই অগভীর নলকূপ।
আর্সেনিকের এমন ভয়াবহ চিত্রে আতঙ্কে স্থানীয়রা। পানযোগ্য পানির তারা বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানান তারা। কেবল আর্সেনিক নয়, দাগনভূঞা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের গভীর নলকূপের পানিতে মিলেছে লবণও।
আর্সেনিকে আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রাথমিক অবস্থায় গায়ে কালো কালো দাগ দেখা দেয় অথবা চামড়ার রং কালো হয়ে যায়। হাত ও পায়ের তালুতে ছোট ছোট শক্ত গুটির মত দেখা দিতে পারে। পরবর্তিতে কিডনি, লিভার ও ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে।
আর্সেনিকযুক্ত পানি খাওয়া ছাড়া অন্য সব কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে গভীর নলকূপে লবণের উপস্থিতি নতুন উদ্বেগের কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আল/ দীপ্ত সংবাদ