বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না মর্মে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট– ওই রিট আর পরিচালনা করা হবে না মর্মে ননপ্রসিকিউশন (প্রত্যাহার) করেছেন রিটকারী। এর ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম প্রচারে কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি (ডিসচার্জ ফর নন–প্রসিকিউশন) করে দেন।
২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। ৭ জানুয়ারি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা–উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।
তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য–বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত। এ সংক্রান্ত মামলাটির পিটিশনার মামলাটি আজ প্রত্যাহার (ডিসচার্জ ফর নন–প্রসিকিউশন) করে নিয়েছেন। সেটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য–বিবৃতি প্রচারে যে আইনি বাধা ছিল– তা আর রইলো না।
শেখ হাসিনার শাসনামলের ওই আদেশ সংবিধান পরিপন্থি ছিল বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ