রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

গজারিয়ায় সাংবাদিক-পুলিশের ওপর হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর করে নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বরখাস্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. জুবায়ের।

গত বুধবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. জুবায়ের বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের আদেশে মনিরুল হক মিঠুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তার ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হকরা ওই ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য সোহেল রানা সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর নির্দেশে সোহেলকে মারধর শুরু করেন। ওই ঘটনার সময় পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক গোলজার হোসেন। পরে তারা গোলজারের ওপর হামলা করে মুঠোফোন, পকেটে থাকা টাকা, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করতে থাকেন। অন্য সাংবাদিকেরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে তাদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন মনিরুল হক, তার ভাই ইকবাল হকসহ তাদের লোকজন। সাংবাদিকদের হত্যা ও হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেন তারা।

একই দিন হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দখল, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন মনিরুল হক মিঠুর লোকজন। পুলিশ বাঁধা দিলে ককটেল ফাটিয়ে, তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মনিরুল হক। এতে পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং সাংবাদিক গোলজার হোসেন আলাদাভাবে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করে। এ দুটি মামলা ২১৮ জনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকে ১১ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে মনিরুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রোববার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম। পরে শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন গজারিয়ার আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, পুলিশ- সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More