ট্রাফিক সিগন্যাল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের। দীর্ঘক্ষণ হাতের ইশারা ও বাঁশি দিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল সামলান তারা।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খোন্দকার নজমুল হাসান গত ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
ঢাকা শহরে দেশীয় প্রযুক্তির সিগন্যাল বাতি ও ট্রাফিকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নজমুল হাসান।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি জানান পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাইকোর্টের ইন্টারসেকশন থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২৯টি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তির সিগন্যাল বাতি বসানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে দুই সিটি করপোরেশনের চারটি ক্রসিংয়ে সিগন্যালে বাতি লাগানোর কাজ শুরুর প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে নজমুল হাসান বলেন, বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সোনারগাঁও ও ফার্মগেট ক্রসিংয়ে সিগন্যালে বাতি লাগানো হবে। সিটি করপোরেশন এক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয় বহন করছে। এতে সাপোর্ট দেবেন বুয়েটের অভিজ্ঞরা। সমন্বয় করবে ডিটিসিএ। যেহেতু সড়কে কাজ করে ট্রাফিক পুলিশ, তাই দেশীয় সিগন্যালে বাতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। অচিরেই এর সুফল পাওয়া যাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ভবন মোড়, কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবন মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড় হয়ে মিন্টো রোডের মোড়ে বসবে। পরে বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর হয়ে আবদুল্লাহপুর মোড় পর্যন্ত বসানো হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০০২–২০০৫ সালে ১৩ কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১০–২০১৮ সালে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৬৮টি ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয় ঢাকায়। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাতিগুলোর প্রায় সবই নষ্ট। শুধু গুলশান–২ এ ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি রয়েছে।
এসএ