খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষক–কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, সংঘর্ষে জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।