বন্যা পরবর্তী ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট হচ্ছে কুমিল্লার দুর্গত অঞ্চলে। পানি নামা অব্যাহত থাকলেও, এখনও তলিয়ে ঘরবাড়ি ও সংযোগ সড়ক। তাই বেশিরভাগেরই ফেরা হয়নি নিজ ঘরে, রয়েছে ত্রাণের ব্যাপক চাহিদা।
তলিয়ে যাওয়া জনপদে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। ভয়াবহ বন্যায় বিস্মিত মানুষের এখন, সব হারানোর হাহাকার।
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ দিয়ে এখনো লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। ফলে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। এছাড়া বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনো ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে, তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি থেকে এখনো উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
সরকারি হিসেবে জেলার ১৪ উপজেলার ১০ লাখ ৬১ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে অন্তত ৭টি উপজেলায়। অতি দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।
শাকিল/ আল/ দীপ্ত সংবাদ