অপহরণ, নির্যাতন ও অস্ত্রের মুখে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার কিশামত মালিবাড়ি ধর্মপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আতিকুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এর আগে বিদিশা সিদ্দিকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে গাইবান্ধা আমলী আদালতে একই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
আতিকুর রহমানের লিখিত বক্তব্যে থেকে জানা যায়, তার আর্থিক সংকটের কারণে ইটভাটা ভাড়া দেন। এরপর ২০১০ সালে বিদিশা সিদ্দিকের মালিকানাধীন ঢাকার এরিক বিস্ত্রো নামের প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। পরবর্তীতে তারই অধীনে ‘বিদিশা ফাউন্ডেশন’-এ যোগদান করেন। ২০১৬ সালের শেষের দিকে বিদিশা সিদ্দিক তার ইটভাটায় টাকা লগ্নি করেন। বিদিশা ইটভাটা চালু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ধার প্রদানে রাজি হন।
এদিকে বিদিশা সিদ্দিক গত ৭ মার্চ একটি প্রাইভেট জিপে অস্ত্রধারী লোকজনসহ আতিকুরের ইটভাটায় আসেন। এ সময় তারা তার কাছে থাকা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেলের চাবি, ম্যানিব্যাগে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লুবুক, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, তার স্ত্রী ও তার বাবার ইসলামী ব্যাংকের চেকের পাতা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানা যায়, বিদিশা ও তার লোকজন গত ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিন তাকে আটকে রেখে প্রতিরাতে অমানুষিক নির্যাতন করতো। এরপর তাকে ছেড়ে দেবে বলে কৌশলে তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান মিথেন ও ঢাকায় বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ আলী সরকারকে ঢাকায় ডেকে নেন। সেখানে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকির মুখে একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এরপর বিদিশা গত ১৭ মার্চ আতিকুর ও তার লোকজনকে গাইবান্ধার ইটভাটায় নিয়ে আসে। তারা ইটভাটার অফিস তালাবদ্ধ করে এবং শাহজাদা নামে ব্যক্তিকে ইটভাটার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বিদিশার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আতিকুর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এমি/দীপ্ত