২০২৩ সালে ফেনীতে সাড়ে ৯ লাখ টাকার অধিক জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অন্যদিকে ২০২২ সালে এ অধিদপ্তরের অভিযানের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, নিয়মিত অফিসার না থাকাতে অভিযানের সংখ্যা কমেছে।
অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৯টি অভিযান পরিচালনা করে হয়েছে। যার মধ্যে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা। ১২ মাসে ৭১টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা এবং ২টি অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৩ দিন অভিযান পরিচালনা করে ১৬১ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানাসহ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করে সর্বমোট ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এতে দেখা যায় ২০২২ সালে যে অভিযান হয়েছিলে তার অর্ধেক হয়েছে ২০২৩ সালে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কাউসার মিয়া বলেন, গত বছর নিয়মিত কর্মকর্তা ছিল যার ফলে ফেনীতে বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমি নোয়াখালীতে দায়িত্বে আছি এখানে ১৮৩ টি অভিযান পরিচালনা করেছি। ফেনীতে যেগুলো করেছি সেগুলো অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে করেছি। কারণ আমি ফেনীতে দুদিন অফিস করি। নিয়মিত অফিসার থাকলে এর সংখ্যা দ্বিগুণ হতো বলে জানান তিনি।
ফেনীর ব্যবসায়ীদের সচেতনতার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সেক্টরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক সময় দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ও কিছু করার কিছু করার থাকে না। ফেনীতে সচেতনতা বাড়ছে। ফেনীর রেস্টুরেন্টগুলো অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। তাদের সাথে আলোচনা করে অনেক কিছুর দাম কমানো হয়েছে। পাশাপাশি যারা কারসাজি করে তাদেরকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আইনের আওতায় এনে বুঝানোর চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের আইনের বাধ্যবাধকতা আছে। যারা উৎপাদন করছে তারা তাদের খরচ অনুযায়ী দাম নিতে পারে। অভিযানের ক্ষেত্রে পণ্যের মোড়কে মূল্যে থেকে বেশি নিলে আমরা জরিমানা করতে পারি, অন্যথায় করা সম্ভব হয় না। তবে ফেনীতে নিয়মিত অফিসার পেলে অভিযানের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, প্রতিমাসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমি ফেনীতে এসে সভা করতে গিয়ে জানতে পেরেছি ফেনীতে নিয়মিত কর্মকর্তা নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমানে যিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন তিনি নোয়াখালী জেলায় ৩ কর্মদিবস করে ফেনীতে ২ কর্মদিবস কাজ করবেন। সে অনুযায়ী তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ দুদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করবেন। পাশাপাশি নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে ফেনীতে যাতে নিয়মিত কর্মকর্তা অতিদ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয়।
আবদুল্লাহ / আল / দীপ্ত সংবাদ