আলো ছড়াচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন বন্দর নগরীর মানুষ।
২৮ অক্টোবর (শনিবার) উদ্বোধনের পরদিন থেকেই সাধারণ যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
এখানে সন্ধ্যা নামে কিন্তু আঁধার নামে না। বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে এমনই আলো ঝলমলে পতেঙ্গা প্রান্তর। এরই মধ্যে শতভাগ প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু টানেল।
মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক চার তিন কিলোমিটার। এই টানেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলাকে সড়ক সংযোগে আনছে। এজন্য টানেলের দুই প্রান্তে ৫ দশমিক তিন পাঁচ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ তো বটেই গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এই প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে তৈরি টানেল নিয়ে গর্বিত চট্টগ্রামবাসী।
টানেলটি ব্যবহারের জন্য দিতে হবে টোল। কার–জিপ–পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ট্রাককে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন, বঙ্গবন্ধু টানেল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলটি চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা খরচে তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। এর মধ্যে চীনের ঋণ ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। টানেল চালু হওয়ার পর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
এসএ/দীপ্ত নিউজ