দেশজুড়ে এবারের ঈদ যাত্রা সহজ করতে নয় জোড়া বিশেষ ট্রেনের বরাদ্দ থাকলেও ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের সান্তাহার, বগুড়া, গাইবান্ধা, কাউনিয়া ও লালমনিরহাট রেলরুটে ঈদ উপলক্ষে নেই কোন বিশেষ ট্রেন। গাইবান্ধার তিনটি রেলস্টেশন থেকে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানের টিকিট সংকটের কারণেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের যাত্রীদের।
গাইবান্ধা–ঢাকা ৪৮০ কিলোমিটার পথে সাধারণ টিকিটের পাশাপাশি বার্থ ও এসির সুযোগ না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন। এর ফলে রেল বিভাগ বিপুলসংখ্যক যাত্রীর পরিবহন সেবা দিতে না পারায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
একদিকে যেমন টিকিট স্বল্পতা, অন্যদিকে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট পেতেও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগের টিকিট দু–এক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সড়ক পথে ঢাকা যেতে সময়, নিরাপত্তাসহ নানা বিড়ম্বনার কারণে রেলপথে যাওয়ার আগ্রহ যাত্রীদের অনেক বেশি। কিন্তু আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় যাত্রীরা সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গাইবান্ধা থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের জন্য রয়েছে মাত্র দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। একটি হচ্ছে লালমনি এক্সপ্রেস অন্যটি রংপুর এক্সপ্রেস। ট্রেন দুটি এ জেলার ওপর দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করে। কিন্তু যাত্রীর চাপ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ দেড় যুগেও ট্রেনের সংখ্যা বাড়েনি। বাড়েনি আসন সংখ্যাও।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. নুরুন্নবী ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে এই রুটের ‘আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস’ ও ‘আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে দুইটি করে অতিরিক্ত বগি (কোচ) বাড়ানোর কথা রয়েছে। লালমনিরহাটের যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এই রুটে রাত্রিকালীন আরও একটি ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ‘তিন বিঘা করিডোর’ নামক একটি ট্রেন চালু হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি চালু হলে এই অঞ্চলের মানুষের রেলসেবার উন্নয়ন ঘটবে।
এমি/দীপ্ত