গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্তত ৩০টি আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসা সেবাদানকারীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখের বেশি। সংঘাতের কারণে উপত্যকার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলের এই অভিযানের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন দিয়ে আসছে। মানবিক সহায়তা বন্ধ থাকায় গাজার মানুষ তীব্র খাদ্য সংকট এবং দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থনে পরিবর্তন আনেনি।
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ হলেও ইসরায়েলের নীতি ও অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। গত আগস্টেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ২০০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমানসহ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অনুমোদন দেয়।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালানোর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। সংঘাতের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে হাজারো মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি।