ইলিশ মাছ স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টি উপাদানেও ভরপুর। ইলিশের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা সীমাহীন। ইলিশ মাছে অন্যান্য মাছের তুলনায় স্যাচুরেট চর্বির পরিমাণ কম থাকে ও ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় রক্তে দ্রুত ভালো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
কোলাজেন শব্দটি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে বহুল পরিচিত এবং তারা এটি নিয়ে খুব সচেতনও। ইলিশ মাছে যে প্রোটিন থাকে, তা কোলাজেনসমৃদ্ধ। কোলাজেন হচ্ছে অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা কোষের যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষের সার্বিক কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়া ইলিশ মাছে ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বক সুস্থ রাখে। কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ইলিশ ভাজা, ইলিশের ভর্তা, শর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, পান্তা ইলিশ, ইলিশের ডিম ছাড়া বাঙালির খাবারে যেন তৃপ্তিই আসে না, তবে ইলিশ মাছের জালি কাবাব এটির সাথে আমরা খুব কম মানুষ পরিচিত। এটি ঝামেলা বিহীন এবং সহজেই ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার এই কাবাব।
কাবাব বানাতে যা যা উপকরন লাগবে:
-
৪/৫ টুকরা ইলিশ মাছ
-
৩ টুকরা পাউরুটি
-
২ টি ডিম
-
গোঁল মরিচের গুড়া
-
কাচা মরিচ ৫/৬ টা
-
লেবুর রস ১/২ টেবিল চামচ
-
লবন ও লাল মরিচের গুড়া স্বাদমত
-
ধনিয়া পাতা কুচি পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রনালী:
প্রথমে ৪/৫ টুকরা ইলিশ মাছ সিদ্ধ করে মিহি করে বেটে নিতে হবে যাতে কাটা না থাকে, তারপর ৩ টুকরা পাউরুটি ও ২ টি ডিম ভালো করে মেখে নিতে হবে, পরে একেক করে গোঁল মরিচের গুড়া. কাচা মরিচ ৫/৬ টা কুচি, লেবুর রস ১/২ টেবিল চামচ, লবন ও লাল মরিচের গুড়া স্বাদমত, ধনিয়া পাতা কুচি পরিমাণমত দিয়ে পছন্দমত শেপ করে নিয়ে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ইলিশ মাছের জালি কাবাব।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ