রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫
রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫

আ.লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে স্বামী-স্ত্রী

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর দলীয় মনোনয়ন লাভের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। ফেনী(দাগনভূঞা ও সোনাগাজী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী।

তারা হলেনসৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ফেনী৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ, তার স্ত্রী জেদ্দা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পারভীন আক্তার। ইতোমধ্যে তারা নানামুখী প্রচার চালাচ্ছেন। নৌকার সমর্থনে যৌথভাবে গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় উঠান বৈঠক, শোডাউন, গণসংযোগের পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার ও উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করছেন।

স্বামীস্ত্রী দুইজন ছাড়াও ফেনী(দাগনভূঞা ও সোনাগাজী) আসনে ১২ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেনযুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বায়রার সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল বাশার, ফেনী জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন হুমায়ুন, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জেড.এম. কামরুল আনাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক অভিনেত্রী শমী কায়সার, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচী, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য এ.কে আজাদ, চাকসুর সাবেক জিএম আজিম উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন এবং সাবেক যুবলীগ নেতা আমজাদ হাজারী।

মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভীন আক্তার বলেন, স্বামীর সাথে আমি দীর্ঘ সময় সৌদি আরব ছিলাম। ওই সময় জেদ্দা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। দেশে ফিরে গত ১০ বছর ধরে পর্দার আড়ালে থেকে দলের জন্য কাজ করছি। দেশের সব ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে এসে এবার দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ বলেনএ আসনে এমপি থাকাকালীন ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি না থাকায় এখানে নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এবার মনোনয়ন পেলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো।

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More