ওপেনার জাকির হাসানের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে পঞ্চম ও শেষ দিনে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ২৪১ রান করতে হবে স্বাগতিক বাংলাদেশকে।
ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ৫১৩ রানের পাহাড় সমান টার্গেটে চতুর্থ দিন শেষে ১০২ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭২ রান করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার জাকির ১০০ রান করেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান যোগ করেন শান্ত-জাকির।
ব্যক্তিগত ৬৭ রানে তাকে ফেরান উমেশ যাদব। দারুণ সেই ডেলিভারিটি শান্তর ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে চলে যায়। ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। তার হাতে বল লেগে সেটা উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের দিকে আসে। পান্ত শুন্যে পড়ার আগেই বলটি লুফে নেন। শান্তর ১৫৬ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার।
শান্তর উইকেট যাওয়ার পর থিতু হতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বিও। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বোল্ড হন এই ব্যাটার। ১২ বলে ৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন তিনি।
ডাবল উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল দেন জাকির ও লিটন দাস। ২টি চার মারলেও বেশ রক্ষনাত্মক ছিলেন লিটন। দু’বার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। স্পিনার কুলদীপের বলে মিড-অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে উমেশকে ক্যাচ দেন ৫৯ বলে ১৯ রান করা লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন জাকির। তুলে নেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরিও। সেঞ্চুরির পাবার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকির। স্পিনার অশ্বিনের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে কোহলিকে ক্যাচ দেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে প্যাড ছুঁয়ে কোহলির হাতে বল জমা পড়ে বল। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২৪ বল খেলে ১০০ রান করেন জাকির।
এ অবস্থায় জুটি গড়ার পথে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব ও মুশফিক। ৫৩ বল খেলে ২৬ রানও তুলেছিলেন তারা। কিন্তু প্যাটেলের এক ওভারে জোড়া আঘাতে মুশফিক ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের বিদায় ঘটে।
তবে সপ্তম উইকেটে ১৪ ওভার ব্যাট করে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেছেন সাকিব ও মিরাজ। এসময় জুটিতে ৩৪ রান তুলেছেন তারা। সাকিব ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৯ বলে ৪০ ও মিরাজ ৯ রানে অপরাজিত আছেন। ভারতের প্যাটেল ৫০ রানে ৩ উইকেট নেন।