৪ বছর ১ দিন জেল খেটে রূপগঞ্জে ফিরেই রীতিমতো হুঙ্কার দিচ্ছে অনলাইন ক্যাসিনো ডন খ্যাত সেলিম প্রধান। আই ডোন্ট কেয়ার এনিওয়ান, আইএম ব্যাক, প্রধান ইাজ ব্যাক এমন হুঙ্কার দিতে দেখা গেছে সেলিম প্রধানকে। সেলিম প্রধানের হুঙ্কার ; রূপগঞ্জে কেউ অন্যায় করতে পারবে না। রূপগঞ্জের সকল মানুষ মিলে একটি ফ্যামিলি হবে। আর এই ফ্যামিলি সদস্যরা রূপগঞ্জকে উন্নত করবে। রূপগঞ্জের কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ঠাই হবে না।
শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার মিলস কারখানার ভেতরে সেলিম প্রধানের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীর দোয়া শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব হুঙ্কার দেন। সেলিম প্রধান প্রধান মানুষের কাছে থাই ডন নামেও পরিচিত। নির্বাচনের আগে ক্যাসিনো ডন সেলিমের রূপগঞ্জে এসে এমন হুঙ্কারে এলাকাবাসীর মাঝে বিভিন্ন প্রকার আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় সেলিম প্রধান আরো বলেন, ৪ বছর ১ দিন জেলে ছিলাম। ঠিক কত বছর পর রূপগঞ্জে ফিরলাম তা বলতে পারব না। আমার এলাকায় অনেক খারাপ কাজ হয় ভাল কাজও হয়। আমি বাকী জীবন রূপগঞ্জেই সময় দিবো। আমি এলাকাকে পরিবর্তন করে ছাড়বো। এটা আমার গ্যারান্টি। আমি যা বলি তাই করে ছাড়ি। তবে একটা কথা বলে রাখি আমি কখনো রাজনীতিতে আসবো না। তবে সাধারণ মানুষের জন্য সারা জীবক কাজ করে যাবো। আমি সাধারণ মানুষের জন্য একটি নাম্বার ঠিক করবো। যাতে করে মানুষের যেকোন সমস্যায় মানুষ আমাকে ডাকতে পারে। আর আমি সেই সমস্যার সমাধান করবো। রাজনৈতিক নেতারা ভোটে জেতার পর সাধারণ মানুষকে ভুলে যায়। তাই আমি পলিটিক্সে যাবো না। আমাকে অনলাইন ক্যাসিনোর ডন বা বানিয়েছে, হোতা বানিয়েছে। অনলাইন ক্যাসিনোটা কোথায় সব ভূয়া। আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগই ভূয়া। আমার বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যাপারে তো কোন কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। আমাকে যখন ডন বানানো হয়েছে ঠিক করেছি আমি ডন হবো তবে গরীবের ডন। রূপগঞ্জে হবে ওয়ান ফ্যামিলি। ওয়ান ফ্যামিলির সদস্য রূপগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করবে। আমাদের কার্যক্রম রূপগঞ্জ থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়জের ফ্লাইটে ব্যাংকক যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব–১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিস থেকে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমান বিদেশী মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় হরীণের চামড়া। এছাড়া চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল ৫৭ কোটি টাকার অবৈদ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা দুদকের একটি মামলায় ৮ বছরের সাজা হয়েছে তার। আদালতে চলছে আরো ৩ টি মামলা।
স্থানীয়রা জানান, সেলিম প্রধান যে রূপগঞ্জের বাসিন্দা সেটাই তারা জানতো না। ৪ বছর আগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার রূপগঞ্জের মানুষ জানতে পারে তিনি রূপগঞ্জে ভুলতা মর্তুজাবাদ এলাকার বাসিন্দা। ৪ বছর পর তার বিভিন্ন বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর আবারো সেলিম প্রধান আলোচনা আসেন।
গৌতম সাহা/ আল/ দীপ্ত সংবাদ