আমেরিকার গ্যাস বিক্রি প্রস্তাব প্রসঙ্গ উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দেশের স্বার্থই বড়। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এমন দৈন্যতায় শেখ মুজিবের কন্যা ভোগে না।’
রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদীতে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনে হারানোর জন্য শুধু বিদেশিদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানী–গুণীও উঠেপড়ে লেগেছিলেন, কীভাবে আওয়ামী লীগকে হারানো যায়। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়। এক রকম জোর করার কারণেই আমরা সেই নির্বাচনে সরকারে আসতে পারিনি।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশে এসেছিলেন। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন– একই প্রস্তাব (সার রাফতানির)। পরবর্তীকালে যখন লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। তার বাড়িতে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। আমাদের পার্টি থেকে আমি এবং তখনকার সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান আর বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন খালেদা জিয়া এবং মান্নান ভুঁইয়া। সেখানে জিমি কার্টার আসেন দূত হিসেবে। এবারও তার একই প্রস্তাব। আমি একই কথা বলেছি যে, আমাকে সার্ভে করতে হবে, আমার দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে হবে, পঞ্চাশ বছরের রিজার্ভ থাকতে হবে, তারপর উদ্বৃত্ত গ্যাস বিক্রির কথা আমি চিন্তা করবো। তাছাড়া দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে এই দৈন্যতায় অন্তত বঙ্গবন্ধুর কন্যা ভোগে না। আমার কাছে ক্ষমতা বড় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। আমার চোখের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার রাষ্ট্রপতি এসে তার পিঠে হাত দিয়ে বাহবাও দিয়েছিলেন। তখন আমি জিল্লুর রহমান সাহেবকে বলেছিলাম, চাচা এখন চলেন। আমি বুঝতে পেরেছি কী হবে? কিন্তু আমি এটা কেয়ার করিনি। আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, দেশের স্বার্থ বড়। আমরা সেখান থেকে চলে এসেছিলাম’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন নরসিংদীতে নবনির্মিত ঘোড়াশাল–পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেন। এটি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কারখানা। এটি সার আমদানি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ