রমজান মাসের জন্য আগামী সপ্তাহে একই টিসিবি পণ্য আরেকবার পাবেন সুবিধাভোগীরা। যার ফলে সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারকে রমজান মাসে এই পণ্যগুলো কিনতে হবে না। সোমবার (৩ এপ্রিল) নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মাসিক কর্মসূচির পণ্য বিতরণ কার্যক্রমে এ তথ্য জানা যায়।
এই উর্দ্ধমুখি বাজার দরে জাতাকলে বছরজুড়ে টিসিবি পণ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে মধ্যবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত ও নিম্ম আয়ের কার্ডধারী পরিবারগুলোর মানুষের মাঝে। বিশেষ করে রমজান মাসে দুইবার অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো স্বল্পমূল্যে পেয়ে বেজায় খুশি উপজেলার সুবিধাভোগীরা।
সারা দেশের মতো রাণীনগরেও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে নিয়োজিত ডিলাররা। এই টিসিবি পণ্য নিতে সকল শ্রেণির সুবিধাভোগীদের দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১০হাজার ৭শত ৪০টি পরিবার এই টিসিবির সুবিধা পাচ্ছে। যার মধ্যে সদর ইউনিয়নের ১৫শ‘ পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন তারিখে এই পণ্যগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। রমজান মাসে নির্দিষ্ট কার্ডের বিপরীতে ভর্তুকি মূল্যে প্রতিটি প্যাকেজ মূল্য ৪৭০টাকা। প্রতি প্যাকেজে চিনি ১কেজি ৬০টাকা, ছোলা ১কেজি ৫০টাকা, সয়াবিন তেল ২লিটার ২২০টাকা ও মশুর ডাল ২কেজি ১৪০টাকার বিনিময়ে প্রদান করা হচ্ছে যা একটি পরিবারের জন্য প্রায় এক মাসের চাহিদা পূরণ করবে।
সুবিধাভোগী উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামের রহমতুল্লাহ, খট্টেশ্বর গ্রামের আব্দুল আলীমসহ অনেকেই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে বলেন, সরকারের এই কম দামে পণ্যগুলো পেয়ে অনেক উপকার হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসে দুইবার এই পণ্যগুলো পেয়ে অনেকটাই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
সদর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক এন্ড সন্সের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারো সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সরকারের নিয়ম মাফিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পণ্যগুলো বিতরণ করছি। বিতরণ শেষে যদি কিছু পণ্য অবশিষ্ট থেকে যায় তাহলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের পরামর্শ অনুসারে সেগুলো পরিবর্তিতে বিতরণ করা হয়। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শতভাগ সফল করতে আমি সব সময় প্রকৃত কার্ডধারীদের মাঝে পণ্যগুলো পৌছে দিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
আফ/দীপ্ত সংবাদ