আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার মাঝে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, এবং স্ট্রেস এই সমস্যার প্রধান কারণ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধের উপর নির্ভর করেন, তবে এই সমস্যা দূর করতে আকুপ্রেশার একটি কার্যকরী এবং প্রাচীন পদ্ধতি হতে পারে। আকুপ্রেশার হল চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির একটি অংশ, যা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। গ্যাসের সমস্যার জন্য নিম্নলিখিত আকুপ্রেশার পয়েন্টগুলো খুবই কার্যকরী।
১. পয়েন্ট P6 (Nei Guan)
এই পয়েন্টটি কব্জির ভিতরের অংশে অবস্থিত, হাতের দুটি আঙুলের চওড়া দূরত্বে কব্জির ভাঁজের নিচে। এই পয়েন্টে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করলে গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। আপনি হাতের দুটি আঙুল ব্যবহার করে এই পয়েন্টে চাপ দিন এবং ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।
২. পয়েন্ট ST36 (Zusanli)
এই পয়েন্টটি হাঁটুর নিচে চার আঙুলের চওড়া দূরত্বে, এবং পায়ের বাইরের দিকে এক আঙুলের চওড়া দূরত্বে অবস্থিত। এই পয়েন্টে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করলে পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন এই পয়েন্টে কয়েক মিনিট চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৩. পয়েন্ট CV12 (Zhongwan)
এই পয়েন্টটি নাভির উপরে চার আঙুলের চওড়া দূরত্বে অবস্থিত। এই পয়েন্টে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করলে পেটের গ্যাস কমতে পারে। আপনার আঙুলের সাহায্যে মৃদু চাপ দিয়ে এই পয়েন্টে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪. পয়েন্ট LI4 (Hegu)
এই পয়েন্টটি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনী আঙুলের মাঝে অবস্থিত। এই পয়েন্টে চাপ দিলে মাথাব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট ধরে এই পয়েন্টে চাপ দিন এবং ম্যাসাজ করুন।
আকুপ্রেশারের এই পদ্ধতিগুলো নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং নিয়মিত ব্যায়ামও গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, জীবনযাপনে এই পরিবর্তনগুলো আনার পাশাপাশি আকুপ্রেশারের এই সহজ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনি গ্যাসের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
এমবি/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ